চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল এখন ইয়াবা পাচারের নিরাপদ ট্রানজিট রুট। মিয়ানমার থেকে সাগরপথে আসা মাদক, এখানকার বিভিন্ন পয়েন্টে খালাস হয়। এরপর ছড়িয়ে যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এই কাজে জড়িত বড় একটি সিন্ডিকেট। পেছনে আছেন কিছু রাজনৈতিক নেতাও। ফলে নানা পদক্ষেপেও বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবা পাচার।
আনোয়ারা উপকূল। বহুদিন ধরে অভিযোগ, মিয়ানমার থেকে সাগরপথে আসা ইয়াবার চালান খালাসের জন্য এই এলাকায় নিরাপদ জোন।
সাগরতীরবর্তী রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গহিরা ঘাটকূল। মূল সড়ক থেকে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এই ঘাটকে নিরাপদ পয়েন্ট হিসেবেই ব্যবহার করছে ইয়াবা কারবারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে ইয়াবা পাচারে জড়িত বড় একটি সিন্ডিকেট। যারা ঘাটে তোলার পর, সেই ইয়াবা পৌঁছে দেয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ইয়াবা ব্যবসা করেই এমন অনেকে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে আনোয়ারায়।
শুধু গহিরাই নয়, ইয়াবা পাচার হয় দোভাষী বাজার সংঘগ্ন ঘাট, উঠান মাঝি ঘাট, ভরাচরসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে। অভিযোগ মিলেছে, এর নেপথ্যে আছে ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা।
মাঝে মাঝে এসব ঘাটে কিছু অভিযান হলেও তা নিয়মিত নয়। যদিও ইয়াবা পাচার বন্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে পুলিশ।
তথ্য বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত আনোয়ারা থানায় মাদক মামলা হয়েছে ৬৫টি। গ্রেপ্তার ৮৬ জন। আর বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৭ লাখেরও বেশি ইয়াবা।
পাঠকের মতামত: